পারমাণবিক শক্তিশাী ক্ষমতাধর রাষ্ট্র ফ্রান্স তাতে কোন সন্দেহ নেই।জাতিসংঘের স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্র,ইউরোপোয়ীয় ইউনিয়নের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্যসহ কয়েকটি আন্তর্জাতিক মানের সংস্থার সদর দপ্তরও এখানে।কিন্তু ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাসোয়া ওলাদের পর ২০১৭সালের১৪ ই মে প্রেসিডেন্ট পদে অভিসিক্ত হন ইমানুয়েল মাখোঁ। ফ্রান্সের মধ্যে   নেপোলিয়নের পর সবচেয়ে তরুণ প্রেসিডেন্ট আসে ৩৯ বয়সী ইমানুয়েল মাখোঁ।মি.মাক্রো আসার পর অনেক পরিবর্তনের আভাস দিয়েছিলেন।কিন্তু এর আগে ফ্রান্সের অর্থনৈতিক অবস্থা খুব ভালো ছিল না।২০০৬ সালে তাদের মাথাপিছু আয় যেখানে ছিল ৩৩,২০০ মার্কিন ডলার,২০০৭ সালে মুদ্রাস্ফীতি ছিলো১.৫%,দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করত ৬.২%মানুষ,২০০৬ সালে সরকারি ঋণের পরিমান ছিলো প্রায়১.২১০ ট্রিলিয়ন যা মোট জিডিপির প্রায় ৬৪.৭%, বেকারত্বের হার ৮% ছিলো যা ঐ সময় যুক্তরাজ্যের তুলনায় দ্বিগুণ ছিলো।তবে বর্তমান করোনাকালীন সময়ে মার্চ মাসে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমে গেছে প্রায় ৬ শতাংশ।আর বর্তমান করোনার লকডাউন কারনে প্রতি ২ সপ্তাহে তা ১.৫ শতাংশ হারে কমা শুরু করেছে।বাংলাদেশি বহু ব্যবসায়ি পড়েছেন বিপাকে।করোনাকালীন লকডাউন থাকায় বহু ব্যবসায়ি প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ব্যবসা করতে হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদশি ব্যবসায়ীরা।আর ফ্রান্সের অস্ত্র রপ্তানি হয় সৌদিআরব, মিশর,লেবাননসহ অনেক মুসলিম দেশে।তাছাড়া প্লাস্টিক প, রাসায়নিক দ্রব্যসামগ্রী,ফার্মেসী,গ্যাস,কসমেটিক পণ্য,বিভিন্ন ধরনের খাদ্যসামগ্রী ও মুসলিম দেশগুলোতে রপ্তানি করে থাকে।ফ্রান্সে অনেক আগে থেকেই ইসলামের নবী মুহাম্মদ(সা) কে নিয়ে ব্যাঙ্গাত্নক কার্টুন তৈরি করে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।আর এখন তা ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ রাষ্ট্রিয় ভাবে ব্যাঙ্গাত্নক কার্টুন প্রকাশ করে আরও বেশি সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।তুরস্ক,কুয়েত,সুদান,কাতার,পাকিস্তানসহ অনেক দেশে বিক্ষোভ মিছিল পণ্য বয়কটের হিড়িক পড়ায় মি মাক্রো আরব দেশগুলোকে তা করতে আহ্বানও জানিয়েছে।এই পণ্য বয়কটের সাথে সাথে যদি মুসলিম দেশগুলোতে অস্ত্র রপ্তানি বন্ধ ও কুটনৈতিক সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়ে যায় তাহলে করোনার পর আরো একটি অর্থনৈতিক সংকটময় পরিস্থিতিতে পড়তে পারে পারমানবিক ক্ষমতাধর এই সেক্যুলার রাষ্ট্রটি। 

Post a Comment

Previous Post Next Post